ভাসা ফাউন্ডেশন ৪৫০টি পরিবহন শ্রমিকের পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে।
প্রকাশ : ২৩ মে, ২০২০

২০২০ সালের মে মাসের ১৬, ১৭ ও ১৮ তারিখ ভোলান্টারী একটিভিটিস ফর সোস্যাল এন্ড হিউম্যান এডভান্সম্যান্ট ফাউন্ডেশন (ভাসা ফাউন্ডেশন)-এর উদ্যোগে ৪৫০টি পরিবহন শ্রমিকের পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি রোধ কল্পে বাংলাদেশ সরকার এ বছরের ২৬শে মার্চ হতে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পাশাপাশি জন-সমাগম, ভিড় ও এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় চলাচল এড়াতে সারাদেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
প্রায় ৭০ লক্ষ ড্রাইভার, স্টাফ ও হেলপার পরিবহন খাতে নিয়োজিত আছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকাতে এই খাতে নিয়োজিত ড্রাইভার, স্টাফ, হেলপাররা তথা শ্রমিকরা কর্মহীন ও আয়-রোজগারহীন হয়ে পড়েন। দুর্দশায় পতিত হন দেশের প্রায় ৭০ লক্ষ পরিবহন শ্রমিক।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা পরিস্থিতির কারনে আয়-রোজগার বন্ধ হওয়া মানুষের জন্য বিভিন্ন সহায়তা ও প্রণোদনা প্রদান করছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দেশের নিম্ম আয়ের মানুষের কষ্ট লাঘবের নিমিত্তে সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ বিশাল জনসংখ্যার এই দেশের সকল দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সমস্যা সমাধান করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এই বাস্তবতা বিবেচনায় ও পরিবহন খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে ভাসা ফাউন্ডেশন এই খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের ৪৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করে। প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, চিড়া, মুড়ি, পিঁয়াজ, আলু, লবণ, আটা ও তেল অন্তর্ভূক্ত ছিল।
অন্যদিকে ভাসা ফাউন্ডেশন কর্তৃক অন্য ৪৫০ জন উপকারভোগীর মাঝে জীবাণু হতে সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। এতে সাবান, মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজার হিসেবে সেভলন অন্তর্ভূক্ত ছিল।
ভাসা ফাউন্ডেশনের কর্ম এলাকা তথা কর্ণেল হাট, ফৌজদারহাট, সীতাকুন্ড, পাহাড়তলী, খুলশী, কুমিরা, বন্দর, উত্তর ও দক্ষিণ কাট্টলী এবং হালিশহর এলাকার উপকারভোগীদের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী ও সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
খাদ্য সামগ্রী ও সুরক্ষা উপকরণ বিতরণের পূর্বে বিষয়টি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে পত্র দিয়ে অবহিত করা হয়।
করোনার কারনে সাধারণ ছুটি ও বন্ধের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট এই পরিস্থিতিতে উপহার হিসেবে এই খাদ্য সামগ্রী ও সুরক্ষা উপকরণ গ্রহণ করে উপকারভোগী সদস্যরা ভাসা ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সফলতা ও কল্যাণ কামনা করেন।